Friday 29 January 2021

Latest posts about Gurudev Kishore Da...

1. Song released after 49 years :

Mujhko Yunhi Udaas Rahne Do

Singer : Kishore Kumar

Music Director : R D Burman

Lyrics : Gulzar

Film : Khushboo


2. Creation of Roop Tera Mastana  : By Amit Kumar

3. Creation of Ek Chatur Naar  : By Amit Kumar

4. True Story :

Excerpts from Kishore Kumar's interview by
Pritish Nandy in 1985...
Salil Choudhary about Kishore Kumar :
Once, while I explained a song to him, Kishore Kumar, who had been standing, first leaned against the wall, then sat on a chair, and finally slumped on to the floor as the intricacy of the melody sank in ! The next morning he said he had a dream in which he fled, screaming, "I can't do it! It's too difficult!" While I supposedly chased him with a stick, saying, "Oh yes you will!" And so he did. That song was "Guzar jaye din din" from "Annadata".
I read someplace Kishore recorded the song in 18 takes. Being a perfectionist that he is, Salil Da felt Kishore Kumar was true to the song about 90%.


5. UNRELEASED SELF-COMPOSED SONG IN AN EVENING TIME RAGA WITH ONE HINDI AND ONE BENGALI SONG (non-recording)

6. A beautiful Bhojpuri song - Kene Kene Jaaeen (worth listening)


7. কিশোরকুমার জীবনের খন্ড বিচ্ছিন্ন কিছু কিছু ঘটনা তিনি নিজেই লিখেছিলেন ১৯৫৬ সালে।

যেহেতু প্রথাগত ডায়েরি লেখার অভ্যাস তাঁর ছিল না, তাই এর নাম দিয়েছিলেন ডায়েরির ছেঁড়া পাতা।
♦️আলো, মানে আমার মেজোভাই পরে যে বিখ্যাত হয়েছে অনুপকুমার নামে আর আমি দুজনেই একই কলেজে পড়তাম। এমনকি হোস্টেলে একই ঘরে থাকতাম দুজনে। সব সময় আমি পরে থাকতাম একটা কালো ওভারকোট, সঙ্গে পাজামা, গলায় মাফলার আর পায়ে চপ্পল।
কলেজের প্রথম দিনেই সিনিয়র একটা ছেলে এসে গম্ভীর গলায় বলল, নাপিতরা কি ধর্মঘট করেছে?
আমি তো থতমত খেয়ে বললাম, না তো, মানে..।
বলতে বলতেই বুঝলাম ও আমার লম্বা চুল নিয়ে খেপাচ্ছে।
এবার ছেলেটি বলল, ওই ঘরটায় ঢুকে যাও সোজা। দরজা দিয়ে ঢুকেই দেখি অনেক মেয়ে—আমাকে দেখেই হাসির হররা বয়ে গেল।
তবু কিন্তু আমি শেষ দিন পর্যন্ত ছাড়িনি ওভারকোট। কেউ জিজ্ঞেস করলে স্পষ্টই বলে
দিতাম—'এটা আমার লাকি কোট।' আসলে আমার অসম্ভব রোগা শরীর নিয়ে এতই সংকুচিত ছিলাম আমি যে মাঝরাতে চুপিচুপি বাথরুমে ঢুকতাম স্নান সারতে। রোগা বলেই ফুটবল খেলায় খুব শখ থাকলেও কেউ ডাকত না আমাকে।
একবার একজন খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়াতে সুযোগ এল। সবাই আশ্চর্য হয়ে দেখল, ওভারকোট আর পাজামা পরা একটা ছেলে কেমন গোল করতে পারে।
♦️গান গাইতে আমার এত ভাল লাগত, কি বলব!
অশোককুমারের ভাই বলে একটু-আধটু
খাতিরও জুটল ফাংশান টাংনশানে। কলেজের ফাংশানে একবার গান গাওয়ার ডাক পেলাম। একরাশ লজ্জা যেন ঘিরে ধরল আমাকে।
বলেকয়ে রাজি করালাম, পর্দার আড়াল থেকে গাইব।
নার্ভাস হয়ে এত উঁচুতে ধরলাম যে রীতিমতো অসুবিধায় পড়তে হলো মাঝপথে।
আর কি কান্ড— পর্দা উঠে গেল আচমকা। আমি তখন দরদর করে ঘামছি। কোনমতে শেষ করলাম। গানের শেষে কিন্তু সবাই ঘিরে ধরে বলতে লাগল চমৎকার! দারুন! অপূর্ব!

♦️আর একবার তো গানের মাঝখানে গলায় লবঙ্গ আটকে গেছিল। আমার গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছে না তখন একফোঁটা, আমি প্রাণপণ চাইছি যেন কোরাসের দল ম্যানেজ করে নেয়। কিন্তু তারাও বুঝতে না পেরে একেবারে চুপ হয়ে গেল!
এরপর অবশ্য আস্তে আস্তে লজ্জা কাটিয়ে বেশ মস্তান হয়ে উঠেছিলাম দু'ভাই। প্রতি রাতে দল বেঁধে হারমোনিয়াম বাজিয়ে কাওয়ালী গাওয়া হত। একরাতে হোস্টেল সুপার ঘুম ভেঙ্গে উঠে
এলেন। পরে অবশ্য উনি আমাদের দলের একজন হয়ে গেছিলেন।
এমএ ক্লাসের একটা ছেলে একবার আমাদের নামে ওঁর কাছে নালিশ করেও কোন ফল হল না দেখে খবরের কাগজে ছাপিয়ে দিয়েছিল যে অমুক হোস্টেল মিউজিক রুমে পরিণত হয়েছে।
পরের রাতে এমন হট্টগোল করেছিলাম, ওই ছেলেটির নামে অদ্ভুত কাওয়ালী বেঁধে এমন চেঁচিয়ে গেয়েছিলাম যে গানের গুঁতোয় সে একেবারে চুপ।


8. #আমার_ভাই


#অশোককুমারের_কলমে_ভাই_কিশোরকুমার 


কিশোর যখন বোম্বাইতে এল আমি তখন হিন্দি ছবির নায়ক হিসেবে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত।

বোম্বাইতেই থাকি।  আমার কথাও ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা একটুআধটু শোনে।

আমি ওকে বললাম দেখ, তোমার চেহারা সুন্দর। তুমি যাতে হিন্দি ছবিতে অভিনেতা হিসেবে চান্স পাও আমি দেখব। মানে, চেষ্টা করব।

এ কথা শুনে কিশোর যে খুব একটা খুশি হল, তা কিন্তু নয়। ভাবখানা এইরকম, হলে হবে

কিন্তু লক্ষ করলাম গানের ব্যাপারে ওর উৎসাহ খুব বেশি। সব সময় গুনগুন করে গান গায়।

দিনরাত প্র্যাকটিস করে। একেবারে উদাত্ত কণ্ঠে।

সকাল-দুপুর-সন্ধ্যে ওর সেই ভয়ঙ্কর সঙ্গীতসাধনা আমরা বাড়ির লোকেরা চুপচাপ হজম করলেও, পাড়া-পড়শিরা প্রথমদিকে বেশ বিরক্ত

হত। দু-একজন আমার কাছে এসে নালিশও জানিয়েছিল।

কারণ মহারাষ্ট্রর সংস্কৃতিতে এধরনে সংগীতচর্চার কোনও চল নেই। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, অভিনয় নয় গানই একদিন হয়ে উঠবে কিশোরের জীবন।

ক্রমশ হলও তাই। ও সামান্য যে কটা ছবিতে অভিনয় করেছে,তার তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়তা ও অর্জন করেছে গায়ক হিসেবে।

শুধু তাই নয়, একজন যোগ্য সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে মানুষের মনে কিশোরকুমার চিরকাল বেঁচে থাকবে।

নিয়মিত চর্চা যে মানুষের প্রতিভাকে কতটা বিকশিত করতে পারে সাধারণ স্তর থেকে কতটা পরিণত করে তোলে, কিশোরই তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।

আমি কোনওদিন কোনো অবস্থায় ওকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখিনি। এমন একটা দিনও যায়নি যেদিন ও সরগম না করেছে।

এমনকি জীবনের চরম দুঃখের দিনে, শোকের দিনেও গানই ছিল কিশোরের একমাত্র আশ্রয়।

ওর ব্যক্তিগত জীবনে দুর্যোগ কম আসেনি।

একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সে সব ঘটনা এতটাই চরম যে, অন্য কোন মানুষ হলে পাগল হলে যেত । কিশোর কিন্তু সেসব চড়াই-উৎরাই অনায়াসে অতিক্রম করে এসেছে।

আজ মনে হয় গানই বোধহয় ওকে প্রবল শক্তি যুগিয়েছিল।

কিশোরের আর একটা গুণ ছিল মজা করার ক্ষমতা। সে নিজে হাসতে জানত, লোককে হাসাতেও জানত।

কথায় বলে, যে চারিদিক কাঁপিয়ে হাসতে পারে, কোনওরকম দুঃখ-কষ্টই তাকে স্পর্শ করতে পারেনা।

সম্ভবত, এই কারণেও কিশোর তার জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতাকে প্রতিহত করতে পেরেছিল। 

ওর রসিকতা সমসাময়িক সঙ্গীত শিল্পীদের কাছেও কতটা আতঙ্কজনক ছিল, তার একটা উদাহরণ দিই।

কোনো স্টুডিওতে গান রেকর্ডিং থাকলে কিশোর পৌঁছানর আগে পর্যন্ত লতা মঙ্গেশকর স্টুডিওর বাইরে বসে থাকত। যাতে কিশোর এসে এমন কিছু না করে যার ফলে হাসতে হাসতে সকলের পেটে খিল ধরে যায় এবং গানের প্রতি প্রত্যেকের

মনোযোগ নষ্ট হয়। কিশোর স্টুডিওর দরজায় পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে লতা এগিয়ে এসে বলত,

'কিশোরদা! আজ কিন্তু আগে গান, তারপর হাসির আসর।' এই অফুরন্ত হাসির ক্ষমতা তাকে শুধু জীবনীশক্তিই দেয়নি, দিয়েছিল সকলের মনের মানুষ হয়ে ওঠার সুযোগ।


তথ্যসূত্রঃ টেলিভিশন পত্রিকা।

 


9.    কিশোর কুমারের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন প্রীতিশ নন্দী। তার কিছুটা অংশ।
 
⭕ খুব কুখ্যাতি ছিল আপনার। আপনি পরিচালক এবং প্রযোজকদের ভয়ানক বেকায়দায় ফেলতেন শুনেছি? কেন?
♦️ কিশোর—বোকা বোকা কথা বলবেন না। ওরাই আমাকে সমস্যায় ফেলত। আপনি কী মনে করেন না ওরা একবারও আমার কথা ভাবত? আমাকে নিয়ে ওদের এত নাচানাচির একটাই কারণ হল আমাকে ভালো বেচা যেত। এরা কেউ কি আমার খারাপ দিনে পাশে থেকেছে?
⭕ এজন্যই কী আপনি একাচোরা?
♦️ কিশোর—দেখুন আমি ধূমপান করি না মদও খাই না কিংবা তত মেলামেশা করতে পছন্দ করি না। আমি পার্টিতে যাই না। এতে যদি আমাকে কেউ বলে একাচোরা তাহলে বেশ। আমি এতেই খুশি। আমি কাজে যাই। সোজা বাড়ি ফিরি কাজ সেরে। © রূপকথা রূপকথা রূপকথা
ফিরেই ভয়ের ছবি দেখি। নিজেকে নিয়ে মজা করি। কথা বলি আমার গাছদের সাথে। গান শোনাই। এই লোভী, হিংসুটে সময়ে যেকোনো সৃষ্টিশীল মানুষই একা হয়ে পড়তে বাধ্য। কে আমার এই একা থাকার অধিকার কেড়ে নিতে পারে!
⭕ আপনার বন্ধু নেই?
♦️ কিশোর—একজনও না।
⭕ এককথায় মুছে দিলেন সবাইকে?
♦️ কিশোর—লোকজন আমাকে বোর করে। বিশেষ করে ছবির জগতের লোকেরা তো ভয়ংকর বোর করে। আমি বরং আমার গাছেদের সাথে কথা বলতে পছন্দ করি। © রূপকথা রূপকথা
⭕ আপনি প্রকৃতি ভালবাসেন?
♦️ কিশোর—আরে এজন্যই তো খান্ডোয়াতে চলে যাব ভেবেছি। এ শহরে এসে প্রকৃতির সঙ্গে আমার সব সম্পর্ক চুকেছে। আমার বাংলোর চারপাশে একবার খাল কাটার কাজ শুরু করাই। যাতে গান্ডোলা ভাসাতে পারি খালের জলে।
পুরসভার লোক এসে বসে থাকত আর মাঝে মাঝে তারা আপত্তি জানিয়ে বিমর্ষ ভাবে মাথা নাড়ত। কিন্তু লোকজন খাল কেটেই চলত। একদিন হল কী, খুঁড়তে খুঁড়তে উঠল মানুষের হাতের, গোড়ালির হাড়গোড়। এরপরে আর কেউই খুঁড়তে রাজি হল না। আমার মেজভাই অনুপ খবর পেয়ে গঙ্গাজল নিয়ে হাজির হল। মন্ত্র পড়তে পড়তে জল ছিটিয়ে সে হইচই বাঁধিয়ে তুলল। ওর ধারণা হয়েছিল বাড়িটা কবরস্থানের জমিতে তৈরি হয়েছে। হয়তো ঠিকই ভেবেছিল সে। কিন্তু এর ফলে যা হল, আমার বাড়িটাকে ভেনিসের মত করে তোলা আর হল না।
⭕ লোকে আপনাকে এজন্য পাগল ভাবত। ভাবত কেন, আপনাকে তো পাগল বলেই জানে লোকে।
♦️ কিশোর—কে বলে আমি পাগল? অন্যরা পাগল। গোটা জগতটা। আমি নই।
⭕ অদ্ভুত কাজকারবার করার ব্যাপারে আপনার নাকি জুড়ি নেই, লোকে বলে?
♦️ কিশোর—আরে এটা তো ছড়ালো সেই মেয়েটা যেদিন আমার সাক্ষাৎকার নিতে এসেছিল সেদিন। সেসময় আমি একাই থাকতাম। মেয়েটি বলল, আপনি নিশ্চয়ই খুব একা বোধ করেন। আমি বললাম একদমই না। চল আমার কিছু বন্ধুর সাথে তোমার আলাপ করিয়ে দিই। বাগানে নিয়ে গিয়ে যেসব গাছ আমার বেশি বন্ধু তাদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলাম। জনার্দন, রঘুনন্দন, গঙ্গাধর, জগন্নাথ, বুদ্ধারাম, ঝটপটা, ঘটপটাপটের সাথে।
বললাম এই নৃশংস সময়ে এরাই আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। ফিরে গিয়ে ওই তো কেচ্ছা লিখল। আমি নাকি দীর্ঘ সন্ধ্যাবেলাগুলো গাছেদের দু-হাতে জড়িয়ে ধরে কাটাই। এতে দোষ কই? গাছের বন্ধু হলে দোষ কোথায়?
⭕ কোন দোষ নেই।
♦️ কিশোর—তারপর সেই গৃহসজ্জা বিশেষজ্ঞ এল। দুরন্ত গরমকালে সেই গুজরাটি লোকটি উলের থ্রিপিস জাবদা স্যাভাইল স্যুট পরে হাজির। এসেই নন্দন, সৌন্দর্য, শিল্প নিয়ে জ্ঞান দেওয়া শুরু করল। আমি লোকটার অদ্ভুত চিবিয়ে চিবিয়ে বলা মার্কিনী ঢঙে কথা বোঝার জন্য আধঘন্টা চেষ্টা করলাম। তারপরেই শুরু করলাম প্যাঁচ।
বললাম লিভিং রুমটা হবে খুব সহজ সরলভাবে সাজানো। মেঝে নেই। ঘরটায় কয়েক ফুট জল থাকবে। জলে ভাসবে একটা টেবিল। সেটা সোজা ভাসিয়ে রাখার জন্য নোঙর জুড়ে দিতে হবে। চা আসবে এই টেবিলে। এলেই আমরা ছোট ছোট নৌকায় চেপে টেবিলের পাশে হাজির হব।
চুমুকে চুমুকে কাপ থেকে চা পান করার জন্য।
কিন্তু নৌকাগুলোর যেন ভারসাম্য ঠিক থাকে।
নাহলে আমরা ভালোভাবে আড্ডা দিতে পারব না।
এতে সে বেশ ঘাবড়ালো। এরপর আমি লিভিং রুমের দেওয়ালটা কীভাবে সাজানো হবে যেই বলতে শুরু করেছি লোকটাকে দেখলাম রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে।
আমি বললাম দেওয়ালে জ্যান্ত কাক ঝুলবে পেন্টিংয়ের বদলে। প্রকৃতি তো আমি ভীষণ ভালোবাসি। আর সিলিং থেকে বিজলী পাখার বদলে বাঁদর ঝুলিয়ে দিতে হবে। বাঁদরদের বায়ু নিঃসরণ হবে। © রূপকথা রূপকথা
এরপর লোকটা আলোচনা থেকে উঠে পড়ে। আমার দিকে তাকিয়ে পিছু হাঁটতে থাকে।
চোখে হতচকিত ছবি। শেষে দেখলাম বাড়ির গেট দিয়ে সে এতজোড়ে চোঁচা দৌড়ে পালাচ্ছে যে ইলেকট্রিক ট্রেনও সে গতির কাছে বোধহয় হার মানত। আরে লোকটা হদ্য গরমে থ্রিপিস পশমের কোট পড়ে আসতে পারে তাহলে আমি দেওয়াল থেকে কাক ঝোলাতে দোষ কোথায় ?
তথ্যসূত্রঃ টেলিভিশন পত্রিকা।

















No comments:

Post a Comment

About Kishore Kumar - The Genius

Wonderful posts about Kishore Kumar Remarkable Songs of Kishore Kumar : Banka Siphaiya Ghar Jaiyo Re               Flim - Aath Din 1946    -...